সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১১

ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দীন ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা

হযরত মুহাম্মদ (সা) আল্লাহ তা‘আলার আখেরী নবী। কুরআন তাঁর প্রতি নাযিলকৃত আখেরী কিতাব। মহানবী (সা) এর আগমনের পর পূর্ববতী শরী‘আত ও কিতাব সবই রহিত হয়ে গেছে। এরপর আর কোন নবী আসবেন না এবং কোন কিতাবও নাযিল হবে না। যাঁরা এ আকীদা পোষণ করবেন তাঁরা মুসলিম। আর যারা এ আকীদা পোষণ করবে না, তারা অমুসলিম-কাফির।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এতে কোন খুঁত নেই, নেই কোন অপূর্ণতা। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ঃ
‘‘ আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম।” (সূরা মায়িদা, ৫ঃ৩)
কুরআন মাজীদে আরও ইরশাদ হয়েছে ঃ
“ এবং আমি আপনার প্রতি এমন কিতাব অবতীর্ণ করেছি যার মধ্যে প্রতিটি সস্তুর স্পষ্ট বর্ণনা বিদ্যমান।” (সূরা নাহ্ল, ১৬ঃ৮৯)
 এতে এ কথা বোঝা যায় যে, মানব জীবনে যা কিছু প্রয়োজন তার সব কিছুর নীতি-নিধারণী বিবরণ আল-কুরআনে আছে। প্রয়োজনীয় জ্ঞানানুশীলনের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা) এর পবিত্র জীবনাদর্শের ভিত্তিতে সবকিছুই নির্ধারণ করতে হবে। পুজতাহিদ ইমামগণ তাঁদের সম্পূর্ন জীবন ব্যয় করেছেন এই কাজে। মানব জাতির জীবন যাপন-পদ্ধতির পরিপূর্ণ ও সুষ্ঠু সমাধান তুলে ধরেছেন তাঁরা বিস্তৃতভাবে। এই জীবন ব্যবস্থায় কোনরূপ অপূর্ণতার কথা চিন্তা করা যায় না। মানুষের ঈমান-আকীদা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক জীবনের মূলনীতিসমূহ ইসলামে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা প্রকৃতপক্ষেই পরিপূর্ণ এবং অতুলনীয়। এতে নতুনভাবে কোন কিছুর সংযোজন বা বিয়োজন করার আদৌ কোন অবকাশ নেই।
ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা ভারসাম্যপূর্ণ, স্বভাবসম্মত এবং মানবিক সামর্থ্যরে উপযোগীঅ আল-কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে ঃ 
“ আল্লাহ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।” ( সূরা বাকারা, ২ঃ২৮৬)
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন